Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Morbi adipiscing gravdio, sit amet suscipit risus ultrices eu. Fusce viverra neque at purus laoreet consequa. Vivamus vulputate posuere nisl quis consequat.
Create an accountসংক্ষিপ্ত ইতিহাস
দুর্নীতি দমন কমিশন: প্রেক্ষাপট ও পরিক্রমা:
উন্নয়নশীল কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হল দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা, কেননা দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপসমূহ সফলতা পায় না। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক প্রণীত তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে দেখা যায় যে, যথাযথ ভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে দেশ বার্ষীক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন প্রতিষ্ঠান সমূহ শক্তীশালী করণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্নীতি মুক্ত দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলার জন্য একটি কার্যকর দুর্নীতি দমন কৌশল নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী। উক্ত কৌশলের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন বিগত ২১ নভেম্বর ২০০৪ তারিখে গঠন করা হয়।
মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারার সাথেই দুর্নীতি নামক বিষয়টি জড়িয়ে আছে। সম্পদের উপর ব্যক্তির মালিকানা অর্জনের ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দুর্নীতির উদ্ভব হয়েছে। পৃথিবীতে এ যাবত যে সকল অর্থনৈতিক ও সামাজিক মতবাদের প্রচলন হয়েছে তার কোনটিই দুর্নীতি নামক সামাজিক ব্যাধিকে নির্মুল করতে পারেনি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে অত্র অঞ্চলে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতে বিগত ১৯৪৩ সনে খাদ্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু ঐ সময়ের খাদ্য বিভাগের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে খাদ্যের সুষম বন্টনের নিমিত্তে গৃহীত উক্ত উদ্যোগ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। তৎপ্রেক্ষিতে, ১৯৪৪ সনে তৎকালীন বৃটিশ সরকার একটি অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে গণকর্মচারীদের দুর্নীতি দমনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরর্বতীতে, ১১/৩/১৯৪৭ খ্রিঃ তারিখে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ বলবৎ করা হয়। দুর্নীতি দমনের নিমিত্তে জারীকৃত উক্ত আইন কার্যকর করা এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব পুলিশ বিভাগের উপর ন্যাস্ত ছিল। উক্ত পদক্ষেপ কাংখিত ফল প্রদান না করায় দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি পৃথক সরকারী দপ্তর তথা দুর্নীতি দমন ব্যুরো গঠনসহ অন্যান্য লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন আইন-১৯৫৭ বলবৎ করা হয়। প্রাথমিকভাবে দুর্নীতি দমন ব্যুরো অস্থায়ী দপ্তর হিসাবে কাজ করলেও ১৯৬৭ সন থেকে একটি স্থায়ী দপ্তর হিসাবে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্যক্রম শুরু করে। তবে, ১৯৮৩ সনে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর নিয়োগ বিধিমালা বলবৎ হওয়ার র্পূব পর্যন্ত উক্ত ব্যুরোর সকল পদে মূলতঃ পুলিশ বিভাগ হতে প্রেষণে আসা কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। বিগত ২১ নভেম্বর ২০০৪ সনে সমসাময়িক বাস্তবতা বিবেচনায় কার্যকরভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত করে দুর্নীতি দমন কমশিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন জন্মলগ্ন থেকেই আইন ও বিধি-বিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে একদিকে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, অন্যদিকে সময় সময় সরকারকে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জুলাই ২০০৮ থেকে ডিসেম্বর ২০০৯ সময়কালে দুর্নীতি দমন কমিশন সরকার ও দেশের জনগণের প্রতি তার যে দায়বদ্ধতা তা অনুসরণ করে নানাবিধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।