Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Morbi adipiscing gravdio, sit amet suscipit risus ultrices eu. Fusce viverra neque at purus laoreet consequa. Vivamus vulputate posuere nisl quis consequat.
Create an accountসাধারণ বীমা কর্পোরেশন একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান যা সরাসরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশেরে সকল ধরণের সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসা দেখভাল করার জন্য বীমা কর্পোরেশন আইন ১৯৭৩ (এক্ট নং ৬) এর অধীনে ১৯৭৩ সালের ১৪ মে এটি গঠিত হয়।এরপর থেকে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাধারণ বীমা ব্যবসায় একমাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে থাকে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বীমা কোম্পানির অনুমোদন প্রাদান করে এবং সে লক্ষ্যে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (সংশোধীত) ১৯৮৪ প্রচার করে । সাধারণ বীমা কর্পোরেশন একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের বীমা বাজারের ২০% প্রিমিয়াম শেয়ার এর দখলে। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন দেশের সবচেয়ে বড় বীমা প্রতিষ্ঠান এর মোট মূলধন ৬০৫ কোটি টাকা এবং অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা জামানত মূলধন ১০ কোটি টাকা এবং বর্তমান অর্থবছরে এর মোট আয় প্রায় ৪১৭ কোটি টাকা। নিন্মে উল্লেখিত কিছু বৈশিষ্ট্যই সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তির কথা প্রমাণ করে । যেমন - এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নিজস্ব সম্পদের কারণে মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি, বাংলাদেশের একমাত্র পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠান, অফিসসমূহ বিস্তৃত নেটওর্কের আওতাভুক্ত, প্রচুর প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি, বড় আকারের বিনিয়োগযোগ্য অর্থ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেটে প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি । বহুতল বিশিষ্ট সাধারণ বীমা টাওয়ার রাজধানীর বুকে একমাত্র গাড়ি রাখার টাওয়ার । সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন বাংলাদেশ, শিল্প উন্নয়ন সংস্থা এবং লিজিং কোম্পানি, জাতীয় চা কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশানাল হাউজিং ফিনান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আরামিট লিমিটেড, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো প্রতিষ্ঠানসমূহের স্পন্সর শেয়ার হোল্ডার । বিচক্ষণতার সাথে সকল প্রকার কার্যপদ্ধতি গ্রহণ করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে । শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে নয়, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুটি কয়েক বৃহৎ কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বাংলাদেশের সরকারি ব্যবসার ৫০% এর স্বত্বাধিকারী হিসাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কাজ করে । বীমা কর্পোরেশন আইন (সংশোধীত) ১৯৯০ এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করে যে, সকল সরকারি সম্পত্তি বা এর কোন ঝুঁকি অথবা সরকারি সম্পত্তির উদ্ভূত কোন দায় সংক্রান্ত সকল বীমা ব্যবসার ৫০% বাধ্যতামুলক ভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে এর বীমা করতে হবে এবং এই ধরণের ব্যবসার বাকী ৫০% বীমা চাইলে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে অথবা দেশী-বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানে করা যাবে । কিছু বাস্তবিক কারণে এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সাথে একটি চুক্তির ফলে সরকারি বীমা ব্যবসার শতভাগ দায়গ্রহণ সাধারণ বীমা কর্পোরেশন করে থাকে এবং জাতীয় সহ-বীমা প্রকল্পের আওতাই এই বীমা ব্যবসার ৫০% লভ্যাংশ বাংলাদেশে বিদ্যমান ৪৫ টি ব্যক্তি মালিকানাধীন সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমহারে বন্টন করে দেওয়া হয় । পুনঃবীমা ব্যবসার ক্ষেত্রে, ঐ আইন এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করে যে কোম্পানির ৫০% পুনঃবীমা ব্যবসা বাদ্ধতামূলকভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর সাথে করতে হবে আর বাকী ৫০% পুনঃবীমা ব্যবাসা কোম্পানি চাইলে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে অথবা দেশী-বিদেশী যে কোন বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে করতে পারবে। বীমা আর পুনঃবীমা ব্যবসাই হল সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মূল স্তম্ভ। মোট প্রিমিয়াম আয়, বিস্তৃত অফিস নেটওয়ার্ক এবং দক্ষ জনশক্তির কারণে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নন-লাইফ বীমা দায়গ্রহণকারী প্রাতিষ্ঠান। এছাড়াও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঝুঁকির পুনঃবীমা করে থাকে ।